রমজান মাসকে বলা হয় সংযমের মাস। এ মাসে একটা নির্ধারিত সময়ে পানাহার থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সংযম সাধন করতে হয় আরও অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু বাংলাদেশে দেখা যায় এর উল্টোচিত্র। প্রতি বছর পবিত্র এই মাস শুরু হতেই বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের দাম। সংযমের পরিবর্তে মুনাফালোভী সিন্ডিকেটগুলো আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাতে দুর্ভোগ বাড়ে সাধারণ মানুষের। অথচ রমজান এলে এর বিপরীত চিত্র দেখা যায় আরব দেশগুলোতে। রোজার আগেই সেখানে শুরু হয়ে যায় ছাড়ের ছড়াছড়ি। ওইসব দেশের ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার চাইতে অধিক সওয়াবের আশায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেন। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকছে এবারও।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র রমজান মাসের আগেই কয়েকশ পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতার। ২০২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০-তে, ২০২৩ সালে সেটি আরও বাড়িয়ে ৯০০-এর বেশি পণ্যের দাম কমায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতারি কর্র্তৃপক্ষ।
কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১১ মার্চ থেকে। তার আগেই কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নয় শতাধিক পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। গত ৪ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন মূল্যতালিকা, চলবে রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত।
দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতার সরকার।
কাতারে রমজান মাস উপলক্ষে মূল্যছাড় দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে দুধ, দই এবং দুগ্ধজাত পণ্য, টিস্যু পেপার, পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, রান্নার তেল ও ঘি, পনির, হিমায়িত সবজি, বাদাম, বোতলজাত পানি, জুস, মধু, মুরগি, রুটি, টিনজাত খাবার, পাস্তা, ভার্মিসেলি, গোলাপ জলসহ আরও অনেক কিছু।
কাতারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।