যশোরের অভয়নগরে একমাত্র রেলস্টেশনের নাম নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশন যশোর ও খুলনা জেলার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। আর সেই স্টেশনকে কেন্দ্র নওয়াপাড়া বাজারে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বিভিন্ন শিল্প কারখানাসহ হাজারের অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ শতশত মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাহন ট্রেন বা রেল। আর সেই রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে অভয়নগরবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নওয়াপাড়া রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে অভয়নগরবাসীর ব্যানারে যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া বাজারে শতাধিক ট্রেনযাত্রী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. ফারুক হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পার্থ প্রতীম সুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হায়াত রুম্মান, সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন সিরাজ, নওয়াপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আলম সাজিদ, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম আহবায়ক ফারাজী আরিফুল ইসলাম অনিক, ব্যবসায়ী মেহেদী সবুজ, চাকুরীজীবী আহমেদ ফয়সাল প্রমুখ।
এসময় বক্তারা রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নওয়াপাড়া রেলস্টেশন থেকে ই-টিকেটিং সুবিধা ও সকল আন্ত:নগর ট্রেনে নওয়াপাড়া থেকে এসি চেয়ার ও এসি শোভনে টিকেট বুকিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এছাড়া যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেনের ভেতরে কর্তব্যরত টিটিইদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের বিচার করতে হবে। সকল অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন তারা।
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারীদের উদ্যোগে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ এবং নওয়াপাড়া রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের নিকট পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে