ঘূর্ণিঝড় রেমালের ঝুঁকিতে বাংলাদেশের প্রায় ৮৪ লাখ মানুষ। তার মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী ৭ লাখ ৬০ হাজার শিশু। ৪৩ লাখ নারী এবং ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৬ জন বিকলাঙ্গ।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে। তাদের ওয়েবসাইটে দেয়া ৫ পৃষ্ঠার বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ বিপৎসংকেত বৃদ্ধি করেছে।
বিশেষ করে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী ও উপকূলীয় দ্বীপ, চরগুলোর জন্য ১০ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলে। এতে আরও বলা হয়, ভারি বৃষ্টিসহ বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার হতে পারে। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা, আকস্মিক বন্যা, ভূমিধসের আশঙ্কা আছে। অবশ্য এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হেনেছে বাংলাদেশের উপকূলে। তার প্রভাবে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে বাতাসসহ ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
এতে বহু স্থানে পানি জমে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ইউনিসেফ বলেছে, নিডস অ্যাসেসমেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মতে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
খুলনা গেজেট/এএজে