খুলনার রূপসা ফেরীঘাট এলাকায় নবজাতক শিশু ফেলে যাওয়া ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় মৃত নবজাতকের মা ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব-৬ সদস্যরা। সোমবার দুপুর ২ টায় রূপসা থানাধীন বাগমারা গ্রামস্থ জনৈক হায়দার মাস্টারের ভাড়াটিয়া ময়না বেগমের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, নবজাতক কন্যা শিশুর মা মোছাঃ সালমা বেগম(২২) এবং তার সহযোগী পু্স্প বেগম ওরফে লিপি(৪০)। সোমবার রাতে র্যাব-৬ এর পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন : খুলনায় নবজাতকের লাশ উদ্ধার
এতে উল্লেখ করা হয়, সোমবার সকালে খুলনা জেলার রুপসা ফেরীঘাট সংলগ্ন চর রূপসা গ্রামের জনৈক বাবুর চায়ের দোকানের পাশে নদীরপাড়ে বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় একটি নবজাতক কন্যা শিশুর লাশ পাওয়া যায়। কেবা কারা ওই নবজাতক কন্যা শিশুর লাশটি রাতের আধারে রূপসা ফেরীঘাট এলাকায় ফেলে রেখে যায়। এ বিষয়ে এলাকাবাসী ও জনমতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে পুলিশ নবজাতক কন্যা শিশুটির লাশ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া যায়। এই ঘটনার তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানী), খুলনার গোয়েন্দা দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং নবজাতকটির লাশ দেখে ঘটনার সাথে নবজাতকের মায়ের সম্পৃক্ততার কথা সন্দেহ করা হয়।
র্যাব-৬ ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তকরনের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা আরো জোরদার করে। এক পর্যায়ে অপরাধীদের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয় এবং তাদের গ্রেফতারের জন্য জোরদার আভিযানিক তৎপরতা শুরু করে। অভিযানের এক পর্যায়ে মৃত নবজাতক কন্যা শিশুর মা ও তার সহযোগী খুলনা জেলার রূপসা থানাধীন বাগমারা গ্রামস্থ্য জনৈক হায়দার মাস্টার এর ভাড়াটিয়া ময়না বেগমের বাসায় অবস্থান করছে। র্যাব-৬ এর সদস্যরা দুপুর ২ টার দিকে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে নবজাতক কন্যা শিশুর মা মোছাঃ সালমা বেগম এবং তার সহযোগী পু্স্প বেগমকে আটক করে।
আটককৃত মৃত নবজাতক কন্যা শিশুর মা মোছাঃ সালমা বেগমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রবিবার (২২ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ২টায় তার নিজ বাড়িতে মাতৃত্বকালীন প্রসব ব্যাথ্যা শুরু হলে নবজাতক কন্যা শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। পরবর্তীতে তার প্রতিবেশী খালা পুষ্প বেগমের সহযোগীতায় নবজাতক কন্যা শিশুটিকে ফেরীঘাট সংলগ্ন চর রূপসা গ্রামের জনৈক বাবুর চায়ের দোকানের পাশে নদীর পাড়ে ফেলে আসে। এ ঘটনায় আটককৃতদের রূপসা থানায় হস্তান্তর এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট / এমএম