নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসী রিমনের ছোড়া গুলিতেই মারা যায় শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া (৩)। এ ঘটনায় তাঁর বাবাও মাথায় এবং চোখে গুলিবিদ্ধ হয়। র্যাবের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এমন স্বীকারোক্তি দেয় তাসপিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো.রিমন (২৫)।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে প্রধান আসামিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব ১১।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের সহকারি পরিচালক লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পক্ষে পরিচালক।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ এপ্রিল বিকালে মাওলানা মো.আবু জাহের তার ৩ বছরের শিশু কন্যা তাসফিয়াকে চকলেট ও চিপস কিনে দেয়ার জন্য বেগমগঞ্জ থানাধীন হাজীপুর গ্রামে একটি দোকানে ৩ যায়। এ সময় কুখ্যাত সন্ত্রাসী রিমন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়। এ সময় পূর্বের ক্ষোভের জেরে রিমনসহ গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসীরা মাওলানা মো.আবু জাহেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট ছুড়ে মারলে মাওলানা জাহেরের ৩ বছরের শিশু কন্যা তাসফিয়া আক্তার জান্নাত নৃশংসভাবে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিকটিম এ সময় তার শিশু কন্যাকে না মারার জন্য মিনতি করতে থাকেন এবং শিশু কন্যা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে কোলে নিয়ে বাড়ীতে দিয়ে আসার জন্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে উদ্ধত হন। এসময় সন্ত্রাসী রিমন তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাবা ও মেয়েকে গুলি করে।
রিমনের ছোড়া গুলিতে বাবা ও মেয়ে দুজনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। গুলির আঘাতে জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়ার মাথায়, পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম হয়। এছাড়া মাওলানা জাহের এর মাথায় ও চোখে গুরুতর জখম হয়।
চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে কুমিল্লায় শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়া মৃত্যুবরণ করে। গ্রেপ্তারকৃতরা তাসফিয়া হত্যাকান্ডের পর তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায়।