খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ভিসি পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন শুরু
  মারা গেছেন খ্রিস্টান ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস, প্রধান উপদেষ্টার শোক
  ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় হরিণটানা, খালিশপুর ও আড়ংঘাটা থানায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ৩ মামলা, মোট আটক ৪০

রিজেন্টের পর করোনা প্রতারণার অভিযোগ শাহাবুদ্দিন মেডিকেলে

গেজেট ডেক্স

রিজেন্টের হাসপাতালের পর এবার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলেও বাস্তবে হাসপাতালটি গোপনে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। এটি হাসপাতালের একটি প্রতারণা বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। আজ রবিবার বিকেলে হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানটি এখনো চলছে।

অভিযান চলাকালে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটি অনুমোদন ছাড়াই র‌্যাপিড কিট দিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি টেস্টের কাজ করছিল। এছাড়াও তারা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা করেও নেয় বলে অভিযোগ পেয়েছি।

তিনি বলেন, হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আমরা তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় এই অনুমোদন বাতিল করা হয়। এরপরও তারা গোপনে কোভিড-১৯ পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা বাইরের রোগীদেরও টেস্ট করেছে। এই টেস্টগুলো তারা ডিভাইসের মাধ্যমে করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ডিভাইস ব্যবহারের অনুমোদন নাই। আর যেসব রিপোর্ট দিয়েছে তা সবই ভুয়া।

দ্বিতীয় অভিযোগ হলো- হাসপাতল কর্তৃপক্ষ কিছু পরীক্ষা বাইরের অন্যান্য হাসপাতাল থেকে করে তা নিজেদের হাসপাতালের (শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ) প্যাডে লিখে রোগীদের দিয়েছে।

তৃতীয় অভিযোগ হলো- তারা কিছু প্রোডাক্ট যেমন মাস্ক, গ্লোভস, এগুলো তারা একের অধিক বার ব্যবহার করছে। এগুলো মূলত ওয়ানটাইম ইউজেবল। কিন্তু তারা এগুলো বার বার ব্যবহার করছে। আমরা পুরো হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করছি। হাসপাতালের ওষুধাগারেও অভিযান চলছে।

কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমোদন হাসপাতালটি পেলেও অনিয়মের কারণে তা বাতিল করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপরও হাসপাতালটিতে টাকার বিনিময়ে কোভিড-১৯ রোগীদের অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হচ্ছিল। হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ডা. মো. আবুল হাসনাত ও হাসপাতালের ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির সাদিকে র‌্যাবের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!