ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, শেখ হাসিনা পালানোর পরে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন পদত্যাগপত্র পেয়েছেন। কিছু দিন পরে তিনি বলেন পদত্যাগ পত্র তিনি পাননি। তিনি কচ্ছপের মতো আচরণ করেছেন বিপদ দেখে মাথা গুটিয়ে নিয়েছেন, বিপদ গেলে আবার মাথা বের করেছেন। সম্মানের সাথে পদত্যাগ করে চলে যান। আর তা না হলে আপনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করাবো।
তিনি আরো বলেন, আর কারও লেজুড় হতে চাই না। বিগত সময়ে যারা ক্ষমতায় গিয়েছেন তারা ইসলামের বারোটা বাজিয়েছেন। ৫ আগস্টের পরে ইসলাম রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে যাওয়ার একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ইসলামী দলগুলো একত্রিত হলে এবং একটি বাক্স বাপাততেপারলে, আশা করা যায় ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে।
স্বাধীনতার পর থেকে যাঁরা দেশের ক্ষমতায় বসেছেন তাঁরাই স্বৈরাচার হয়েছেন। গত দেড় দশকের এক স্বৈর-শাসকের কবল থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, আওয়ামী স্বৈরাচার বিদায়ের পর অনেক নব্য স্বৈরাচার চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে লিপ্ত হয়েছে। তাদেরকে আওয়ামী লীগের পতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সুস্থ রাজনীতির চর্চার আহ্বান জানান।
সংগঠনের বাগেরহাট জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বাগেরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, যুব নেতা এইচ এম ইসমাইল হোসেন এবং হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মাওলানা শোয়াইব হোসেন, জেলা কমিটির উপদেষ্টা মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক কাসেমী।
বাগেরহাট জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাস্টার মকবুল হোসেন, এইচ এম সাইফুল ইসলাম, ফকির মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ কবির হোসেন বাচ্চু পাইক, শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মুফতী নূরুজ্জামান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতী তরিকুল ইসলাম, যুব নেতা মাওলানা আবু বকর, মাওলানা সালমান আশরাফী, ছাত্র নেতা আব্দুল আজিজ, হোসাইন আহমাদ, মোহাম্মাদুল্লাহ, মাহদী হাসান এবং জেলা ও উপজেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ থেকে পিআর সিস্টেম বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার। আওয়ামীলীগসহ সকল দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তাঁদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/এএজে