যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার আরও ১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। ধাতব ও খনি খাতে রাশিয়ার রাজস্ব আয় কমাতে, ভবিষ্যৎ জ্বালানি সক্ষমতাকে দুর্বল করতে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যব্যবস্থায় যেন তারা ঢুকতে না পারে এজন্য এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মূলত ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করে, এমন ইলেকট্রনিকস ও অন্যান্য পণ্য যাতে মস্কো না পায়, সে জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মার্কিন অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে।
অর্থ দপ্তরের উপমন্ত্রী ওয়ালি অ্যাডিইয়েমো বলেন, রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা ও যুদ্ধক্ষেত্রে সমরাস্ত্র সরবরাহ রুখে দিতে এবং অর্থনৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করে দেওয়ার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাস সর্বশেষ এ অবরোধকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের ‘অন্তহীন আক্রমণের’ অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপিয়ে দেওয়া ‘হাইব্রিড যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে এই অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।
দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের এ ধরনের ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্বকে আরও সুসংহত করতে সহায়তা করবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা শত শত কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে কিয়েভকে সহায়তা করছে। রাশিয়া বলছে, পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে ধ্বংস করে দিতে চায়। তবে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে উল্টো অভিযোগ করছে, বিনা উসকানিতে ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল করেছে রাশিয়া। সূত্র: মস্কো টাইমস।
খুলনা গেজেট/এনএম