গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সামরিক অভিযানের কারণ হিসেবে রাশিয়া যেসব অভিযোগ করছে তার মধ্যে একটি হলো ইউক্রেনের পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি এবার বলেছেন, তিনি আর ন্যাটো জোটের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করবেন না।
এবিসি নিউজকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়েও আপোষ করতে প্রস্তুত তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি যে ন্যাটো সদস্য হিসেবে ইউক্রেনকে মেনে নিতে প্রস্তুত নয় এবং এই জোট রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে ভয় পায়।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার দাবি মেনে নেয়ার ইংগিত এমন সময় দিলেন যখন ইউক্রেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তুরস্কের আনাতোলিয়ায় এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন।
বৈঠকের বিষয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছেন, তিনি বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরাসরি বৈঠকের প্রস্তাব করবেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু জানিয়েছেন, ১০ মার্চ তুরস্ক, রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তুরস্কের শহর আনাতোলিয়ায়।
শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বৈঠকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে বলে আশা প্রকাশ করে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে তার দেশ।’
খুলনা গেজেট/ এস আই