ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে হ্রাসকৃত মূল্যে তেল কেনে তাহলে তাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন হবে না। তবে এতে ইতিহাসের ভুল স্থানে নিয়ে যাবে নয়া দিল্লিকে। রাশিয়ার কাছ থেকে হ্রাসকৃত মূল্যে ভারতের তেল কেনার খবরে এমন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন পসাকি যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা ও সুপারিশ মেনে চলার আহব্বান জানান সব দেশের প্রতি। কিন্তু ভারতের তেল কেনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি এতে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন হবে না। এ সময় তিনি ভারতের প্রতি পরামর্শ দেন ইউক্রেন ইস্যুতে তাদের অবস্থান কি সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে। তার ভাষায় এই মুহূর্তে যে ইতিহাস লেখা হবে তাতে রাশিয়াকে এবং রাশিয়ার নেতৃত্বকে সমর্থন দেয়ার অর্থ হলো আগ্রাসনকে সমর্থন দেয়া, যার রয়েছে সুস্পষ্টভাবে ক্ষতিকর প্রভাব।
এর আগে বুধবার ভারতের মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশ হয় যে, ভারতের শীর্ষ স্থানীয় তেল বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশন রাশিয়ার কাছ থেকে ৩০ লাখ ব্যারেল অশোধিত তেল কিনেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে এই তেল প্রস্তাব করেছে রাশিয়া। ভারতের মিডিয়ায় আরও খবর প্রকাশ হয় যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে নিঃসঙ্গ করে দেয়ার জন্য যখন আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর, তখন প্রথম দেশ হিসেবে ভারতই এই তেল কিনেছে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ তেলের ক্রেতা ও আমদানিকারক ভারত। চাহিদার শতকরা ৮০ ভাগ তেলই তারা আমদানি করে। এর মধ্যে শতকরা মাত্র দুই থেকে তিন ভাগ তেল কেনে তারা রাশিয়ার কাছ থেকে।
রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার খবরে মার্কিন মিডিয়াগুলো উল্লেখ করেছে যে, এখনও রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানায়নি ভারত। এমনকি তারা এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আনীত নিন্দা প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু কর্মকর্তা রাশিয়া থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে ভারতের প্রতি অনুরোধ করেন। তারা জানেন মস্কোর ওপর ভারত খুব বেশি নির্ভরশীল। তাদের প্রধান অস্ত্রের সবরাহকারী হলো রাশিয়া। এর মধ্যে আছে ছোট্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধ বিমান পর্যন্ত।
খুলনা গেজেট/ এস আই