রাশিয়া এবং ইউক্রেন বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুই পক্ষ থেকে ৪৫ জন করে সেনা ফিরিয়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে যুদ্ধবন্দী বিনিময় ঘোষণা করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ইউক্রেনের হেফাজত থেকে ৪৫ রুশ সেনাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সিয়াল স্টাফের প্রধান আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেন, ৪৫ সেনা কর্মী এবং দুইজন বেসামরিক নাগরিককে ইউক্রেনে ফেরত পাঠানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপের একটি পোস্টে, ইয়ারমাক বলেছেন যে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজন মারিউপোল এবং দক্ষিণ শহরের আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্টে লড়াই করেছিলেন এবং অন্যরা অন্য কোথাও ফ্রন্টলাইনে লড়াই করেছিলেন।
এর আগের ৪ জানুয়ারির রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ১৭৯ বন্দী বিনিময় হয়। কার্যক্রমটি ‘উদযাপনের কারণে’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
শনিবার খবরে বলা হয়, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বন্দী বিনিময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উদযাপনের কারণটি কি, সেটি জানা যায়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সহযোগী আন্দ্রি ইয়ারমাক জানিয়েছেন তাদের ১১৬ জনকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের ৬৩ রুশ সেনা দেশে ফিরেছেন।
বন্দী বিনিময়ের এ কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়।
কিয়েভ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জেইন বসরাভি বলেন, উদযাপনের কারণে শনিবার বন্দী বিনিময় হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত থেকে দেখা যায়, ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭ বার বন্দী অদলবদল হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। কিয়েভের কর্মকর্তাদের মতে কমপক্ষে ১ হাজার ৬৪৬ ইউক্রেনীয় বন্দীকে মুক্তি দেয় রাশিয়া।
যারা এ বিনিময় কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন তারা জানিয়েছেন, এখনও হাজারো সৈন্য ও শত শত বেসামরিক লোক রাশিয়ার হাতে রয়ে গেছে।
মস্কো থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে ওসামা বিন জাভেদ বলেন, মুক্তি পাওয়া ৬৩ সেনা ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরে মানসিক ও স্বাস্থ্যগত চিকিত্সা নিচ্ছেন। তারা তাদের স্বজনদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড