করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১০ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে রোববার (২০ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে তারা মারা যান।
এদের মধ্যে একজন করোনায়, নয়জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এ দশজনের মধ্যে সাতজনেরই বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া দুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এবং একজন নওগাঁর বাসিন্দা। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুজন করে মারা গেছেন ৩, ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে।
হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন একজন। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন ১, ১৫, ১৬, ২২, ২৫, ৩৯/৪০ নম্বর ওয়ার্ডে।
এই এক দিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছে একজন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে একই দিনে হাসপাতালে মারা গেছে আরও নয়জন। এদের মধ্যে সাতজন রাজশাহীর, একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এবং একজন নওগাঁর বাসিন্দা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩০৯ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিল ৩৭৭ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন।
করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৬৬ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৬২ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৪৯ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ জন। এই একদিনে হাসাপাতাল ছেড়েছেন ৩৮ জন।
এদিকে শনিবার (১৯ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৮ জনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৪৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৪৫ ও রামেক ল্যাবে ২৩৫ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
পরীক্ষার অনুপাতে নওগাঁয় সবচেয়ে বেশি ৫৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৪৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই