বাগেরহাটের রামপালে ঐতিহ্যবাহী যাদব সমিতির কমিটি নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সমিতির নিজস্ব জমি ও নগদ অর্থ আত্মসাতের জন্য গঠনতন্ত্র না মেনে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এই কমিটি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে বুজবুনিয়া ও কালিকা প্রসাদ গ্রামের ঘোস সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গঠনতন্ত্র বহির্ভূত এই পকেট কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি করে সমিতির কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার দাবি করছেন সমিতির সিনিয়র সদস্যরা।
সমিতির সদস্যরা জানান, ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ আমলে ঘোষ সম্প্রদায়ের রামপাল উপজেলার বুজবুনিয়া ও কালিকা প্রসাদ এই দুই গ্রামের ১৭ জন সমাজ সেবক সমিতির কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে সমিতির পরিধি কার্যক্রম বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সমিতির জায়গায় নাট মন্দির, সার্বজনীন দূর্গা মন্দির ও গোবিন্দ মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সকলের সমন্বয়ে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সমিতিটি সুনামের সাথে চলছিল। কিন্তু কতিপয় অসাধু ব্যাক্তি সমিতি থেকে সুবিধা গ্রহণের উদ্দেশ্যে সমিতির কমিটিতে আসেন। ২০১৪ সালের দিকে সমিতির গঠনতন্ত্র পরিবর্তণ করে কার্যকরী কমিটির মেয়াদ এক বছরের স্থানে তিন বছর করে নেয়।
গত ২৪ জুলাই রাতে সমিতির অধিকাংশ সদস্যদের অনুপস্থিতিতে চট্টগ্রামে বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরীরত দীপঙ্কর ঘোষকে সভাপতি ও ব্যবসায়ী গোবিন্দ ঘোষকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় মারাত্মক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এসব বিষয়ে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ ঘোষ বলেন, আমাদের এই কমিটির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যে। তরুণরা কমিটিতে আসায় কিছু বয়স্কলোক এই অভিযোগ করেছেন।
খুলনা গেজেট / এনআইআর