ইজিবাইক চালককে মারধর, নির্যাতন ও চাঁদাদাবির অভিযোগে রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ইজিবাইক চালক শেখ আব্দুল্লাহ বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের এ মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন, রামপাল উপজেলার বৃ-চাকশ্রী এলাকার শেখ আঃ মজিদের ছেলে হাসান শেখ (২৬), শেখ ওয়াজেদ আলীর ছেলে আবু সালেহ (৪০), শেখ আঃ মজিদের ছেলে শেখ আবুল (৩৫), মোঃ জাকিরের ছেলে মোঃ জসীম (২৮), মৃত সৈয়দ মোন্তাজের ছেলে সৈয়দ জয়নাল (৪৭), মৃতঃ হাওলাদার আফছারের ছেলে হাওলাদার সাজ্জাদ (৪৮)।
মামলা থেকে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ‘র নির্দেশে ২৩ মার্চ দুপুরে শেখ হাসাল আলীসহ কয়েকজন রামপাল উপজেলার চাকশ্রি থেকে ইজিবাইক চালক শেখ আব্দুল্লাহকে তুলে নেওয়া হয়। ব্রি চাকশ্রী এলাকায় হাসান আলী‘র বাড়িতে বেঁধে রেখে অমানুসিক নির্যাতন চালানো হয় ইজিবাইক চালকের ওপরে।
তার কাছে থেকে মুঠোফোন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে একদিন পরে ২৪ মার্চ দুপুরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ইজিবাইক চালক শেখ আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের চাহিদামত তিন লাখ টাকা না দিলে চোখ তুলে ফেলার হুমকী দেয় আসামিরা। পরবর্তীতে আব্দুল্লাহকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিভিন্ন গনমাধ্যমে আব্দুল্লাহকে নির্যাতনের সংবাদ প্রচার হয়। ইজিবাইক চালক আব্দুল্লাহ বাগেরহাট আদালতে মামলা করেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহকে ফোন করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ফকির ইফতেখারুল ইসলাম রানা বলেন, আদালত আমাদের মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ভিকটিম ন্যায় বিচার পাবেন বলে তিনি মনে করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড