খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

রামপালে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

রামপালে নানান কারনে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ধান ক্রয় সম্ভব হয়নি বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

রামপাল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বোরো মৌসুমে এ উপজেলা ৫১৩ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত মার্চ মাস থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ধান ক্রয়ের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাত্র ক্রয় করা হয়েছে ২৯ টন ধান, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৮৪ টন কম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারিভাবে লটারির মাধ্যমে ১০৪০ টাকা দরে ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ওই দরে প্রথম দিকে ধান ক্রয় শুরু হওয়ার পর পরই ধানের বাজার মূল্য বেড়ে যায়। এছাড়াও নানান শর্ত জুড়ে দেওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা ধান বিক্রিতে নিরুৎসাহিত হন। বাজারে লাগামহীনভাবে ধানের দাম বেড়ে যাওয়া, উম্মুক্ত পদ্ধতিতে ধান ক্রয় না করায় ও খাদ্য দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় সম্ভব হয়নি বলে সচেতন মহল দাবি করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আরিফ খান জানান, বাজারে বেশি দামে ধান বিক্রি হওয়ার কারণে এবং নির্দিষ্ট আদ্রতায় ধান বিক্রিতে কৃষকরা অনিহা দেখান। শুধু রামপালেে নয় সব উপজেলায় এমন অবস্থা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় সরকারিভাবে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে লক্ষমাত্রাা পূরণের জন্য ধান বা চাল ক্রয় করা হবে। রামপাল উপজেলা খাদ্য গুদামের কোনো কোনো অসাধু লোকের হয়রানির শিকার হয়ে ধান বিক্রিতে নিরুৎসাহিত হয়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সেটি অস্বীকার করেন।

রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস জানান, আমরা লটারির মাধ্যমে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করি। বাজারে ধানের দাম বেশী থাকায় ও নির্দিষ্ট আদ্রতার শর্তে কৃষকরা ধান বিক্রিতে অনিহা দেখান।

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!