রামপালে চাঁদাবাজদের ধারালো দা ও রডের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন পিতা ও পুত্র । এ ঘটনায় অবশেষে বাগেরহাটের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (রামপাল) এর আদালতে ১৬ জনকে আসামী করে (পি- ৬৫/২০২৩) একটি পিটিশন মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি করেছেন ভিকটিম আবু সাইদের ভাই আনোয়ারুল ইসলাম। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি বাগেরহাটের সিআইডি কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আহতরা হলেন, উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিনের পুত্র ঔষধ ব্যাবসায়ী বৃদ্ধ আবু সাইদ শেখ (৬৭) ও তার পুত্র নাজমুল হাসান (২৮)। আসামিরা হলেন, শংকনগর গ্রামের আবু হানিফ ওরফে হানু, আব্দুল্লাহ শেখ, গিয়াস উদ্দিন শেখ, মহসীন শেখ, লালু শেখ, সাইফুল্লাহ শেখ, চাঁদপুর গ্রামের মিজান শেখ, মিরাজুল শেখ, জসিম শেখ, সেলিম শেখ, কামাল শেখ, জামাল শেখ, আবু দাউদ মল্লিক, আ. হালিম সরদার ও এরশাদ শেখ।
জানাগেছে, গত ইংরেজি ১৭ জুন শংকনগর মৌজার একটি জমির দখল নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরদিন ১৮ জুুন ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে ১৪৪ ধারার একটি মিস মামলা করেন দায়ের করেন ভিকটিম নাজমুল হাসান। এতে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন প্রতিপক্ষগণ। তারা ভিকটিম আবু সাইদ ও নাজমুলের কাছে মামলার ক্ষতিপূরণ বাবদ পাচঁ লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবী করেন এবং টাকা না দিলে জীবনে শেষ করে দেবেন বলে হুমকি দেন। এরপরে গত ৩০ জুলাই রাত সাড়ে ১১ টায় পিতা-পুত্র ফয়লাহাটের ঔষধের দোকানে বেচা-বিক্রি করে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে ভ্যানগাড়িযোগে চাঁদপুরের বাড়ীতে ফিরছিলেন। পথে কেরামত ও আলতাফের বাড়ীর সামনে পৌছলে সরকারী রাস্তায় ফেলে রাম দা ও রড দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম এবং হাত পা ভেঙ্গে দেয়। ওই সময় আসামিরা ভিকটিমদের পকেটে থাকা দেড় লক্ষ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোনসেট চাঁদা বাবদ নিয়ে নেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহাতরা খুমেক হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ভিকটিম আবু সাইদ জানান, তারা মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে ফিরলে আসামিরা এবার জীবনে শেষ করে দিবে বলে আশংকা প্রকাশ করে রামপাল থানা পুলিশের নিরাপত্তা কামনা করেছেন। গত ইংরাজি ১২ জুলাই বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আমল আদালতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞ আইনজীবী ডক্টর এ কে আজাদ ফিরোজ টিপু।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল ইসলাম