খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
  যাত্রাবাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষে দুই পুলিশ আহত

রামপালে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রধান শিক্ষকের বন্ধ ঘোষণা

রামপাল প্রতিনিধি

রামপালের সোনাতুনিয়া আমেনা খাতুন নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক হাওলাদার আবু সাইদকে কারণ দর্শাতে বলে নোটিশ করা হয়েছে।

আমেনা খাতুন নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উজলকুড় ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. অলিয়ার রহমান অভিযোগ করে জানান, গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষক – কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়েছেন।

এমন খবর পেয়ে সকাল ১০ টায় তিনি দ্রুত বিদ্যালয়ে ছুটে যান। গিয়ে স্কুলে তালাবন্ধ দেখতে পান। তিনি জানান, বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মনিরুজ্জামানের সাথে বিরোধের জের ধরে স্কুল বন্ধ করে দেন। স্কুল সংশ্লিষ্টরা অঅিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক নিয়মের বাইরে মিডডে মিল চালু করেন। প্রতিমাসে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের একটি অংশ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে ২ মাস ধরে মিডডে মিল চালাচ্ছেন। এতে শিক্ষক কর্মচারীরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। এ বিষয়ে তিনি রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

স্কুলের অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক কোন কারণ ছাড়াই স্কুল বন্ধ করেন। এতে শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অভিভাবকরা তাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিন্তিত বলে জানান। এ বিষয়ে স্কুলের কর্মচারী মকবুল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের সাথে সভাপতির দ্বন্দ্ব হওয়ায় প্রধান শিক্ষক স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, সভাপতি লোকজন নিয়ে এসে স্কুলে ঢোকে, স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করে। স্কুলের নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল বন্ধ করা হয়েছে।

এবিষয়ে কথা হয় রামপাল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল কুদ্দুস এর সাথে। তিনি খবর পেয়েই প্রধান শিক্ষককে ফোন করে স্কুল খুলতে বলেন।

এরপরে তিনি সরোজমিনে পরিদর্শন করে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার প্রমান পান। তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের নাইটগার্ডের সাথে বিরোধ বাধায় বিদ্যালয় বন্ধ রাখেন বলে স্বীকার করেছেন। কেন বিধিবহির্ভূতভাবে স্কুল বন্ধ রেখেছেন, এ জন্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!