বাগেরহাটের রামপালে আলমগীর হোসেন (২২) হত্যা মামলায় স্বামী ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা ও জজ-২য় আদালতের বিচারক তপন রায় এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত স্বামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত মো. সিরাজুল ইসলাম মিয়া (২৮) ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম (২৪)। সিরাজুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর উপজেলার জগীহদা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পারগোবিন্দপুর গ্রামের গনি শেখের বাড়িতে ভাড়াবাসায় সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম থাকতো। তাদের পূর্ব পরিচিত আলমগীর শেখ সিরাজুলের অনুপস্থিতে তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি সাবিনা বেগম স্বামী সিরাজুলকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে বিষয়টি দু’জনে কৌশলে আলমগীরকে ডেকে এনে ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে করে লাশ পুকুরে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় নিহত আলমগীরের পিতা মোশারেফ হোসেন বাদি হয়ে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় তদন্ত শেষে পরের বছরের ২৪ মার্চ রামপাল থানার এস আই ইমারত শেখ হত্যায় মামলায় সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন ।
বিচারিক আদালত মামলায় ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে হত্যা মামলায় স্বামী ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট সীতারানী দেবনাথ ও এপিপি শরৎচন্দ্র মজুমদার। বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মিহির কুমার দেবনাথ।
খুলনা গেজেট/এনএম