রামপাল উপজেলা সদরসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার মানুষ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলছে। ফলে এলাকাটি এখন বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিসহ রোগ বালাই ছড়িয়ে পড়েছে, নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ উপজেলায় বেশ কয়েকটি হাট-বাজার রয়েছে। এর কোনটিতেই ময়লা আবর্জনা ফেলার কোন ডাম্পিং নেই। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ দুষণসহ বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। রামপাল সদর, পেড়িখালী বাজার, ভাগা বাজার, গিলাতলা বাজার, চাকশ্রী বাজার, ফয়লা বাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তুুপ দেখা গেছে। এলাকার সকল বাজারের একই অবস্থা। সদরের পুরাতন ডাকবাংলো, নতুন ডাকবাংলো, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের এলাকা, প্রাণী সম্পদ দপ্তর সংলগ্ন বাজার এলাকায় বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অনেক স্থানের বর্জ্য সরাসরি নদী ও খালে ফেলা হচ্ছে। এতে নদী দুষণ ও নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে, নদীর জীববৈচিত্র পড়েছে হুমকিতে।
রামপাল সদরের ওষুধ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দৃষ্ট জায়গা না থাকায় মানুষ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলছেন। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। একই কথা বলেন, হামিদুর রহমান জামি।
এ বিষয়ে রামপাল সদর বণিক সমিতির সভাপতি শেখ আবু দাউদ বলেন, আমরা যাতে নির্দৃষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলতে পারি সে জন্য বিশেষ স্থানে ডাস্টবিন স্থাপন ও ডাম্পিং স্থাপনের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি করছি।
উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ বলেন, বর্জ্য ফেলার নির্দৃষ্ট জায়গা না থাকায় পরিবেশ হুমকিতে পড়েছে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, বিশেষ করে প্লাস্টিকের বর্জ্য মারাত্মক ক্ষতি করছে। সকলকে সচেতন হতে হবে এবং দ্রুত বর্জ্য ফেলার স্থান তৈরি করে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলতে হবে।
রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পবিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুকান্ত কুমার পাল জানান, বর্জ্য আমাদের নানাভাবে ক্ষতি করে। এতে পানি, মাটি ও বায়ু দুষিত করে, এতে মশা, মাছি ও অন্যান্য ক্ষতিকর জীবাণু বংশ বিস্তার করে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।। সকলের উচিত সচেতন হওয়া ও নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা এ উপজেলাকে দুষণমুক্ত ও ময়লা আবর্জনামুক্ত করতে পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রথমে আমরা উপজেলা সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে ডাস্টবিন স্থাপন ও ডাম্পিং ব্যবস্থার মাধ্যমে কাজ শুরু করছি। সদরের সকল স্থানের ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য অপসারণ করবো। এ প্রকল্প ফলপ্রসূ হলে উপজেলার সকল স্থান এটি সম্প্রসারণ করা হবে। এ জন্য তিনি জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও সচেতন মহলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন