বাগেরহাটের রামপাল- বাঁশতলী সড়কের নির্মাণ কাজটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় উপজেলায় আগত সেবা প্রত্যাশী ও এর আশপাশের এলাকার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে নিম্ন মানের ইটের খোয়া ব্যবহার ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে।
নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকায় উপজেলা এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্টরা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র দাবি করেছেন। সড়কটি আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন করা হচ্ছে। সড়কটি খুলনার দৌলতপুর এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্স ২ কোটি ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৫ টাকা ব্যয়ে ১.২০৫ মিটার চেইনের সড়কটি নির্মাণ করছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করে গত ইং ০১-০৩-২০২০ তারিখ। যা শেষ হওয়ার কথা গত ইং ০১-০৩-২০২১ সালে। কিন্তু ১৫ মাস গত হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। অর্ধেকের কিছু বেশী কাজ সম্পন্ন করতে পারলেও বাকী প্রায় ৫০০ মিটার কাজ ফেলে রেখেছে। ওই সড়কের অর্ধেক কাজ নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া এবং কাজের গুনগত মান ঠিক থাকলেও অপর অংশের ইটের খোয়া ফেলানো নিয়ে ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এলাকাবাসি দাবি করেছেন ওই আরসিসি সড়কের সাথে দুইটি ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। ড্রেন দুটি সড়কের চেয়ে খানিকটা উচু হওয়ায় ও সড়কের পানি ড্রেনে না যাওয়ায় ড্রেন দুটি কোন কাজেই আসছে না। বর্তমানে ড্রেন দুটি মশা উৎপাদনের খামারে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও অসমাপ্ত সড়কে নিম্ন মানের ইটের খোয়া ব্যবহার করায় এলাকাবাসি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বাসস্টান্ডের ওই এলাকার ঠিকাদারের লোকজন দুই গাড়ি নিম্ন মানের ইটের খোয়া ভুলক্রমে ফেলেছিল। আমি তাদের ওই নিন্মমানের খোয়া সরিয়ে এক নম্বর খোয়া দিতে বলেছি। সড়কটির বাকী অংশ দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
কি কারণে বা কেন দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি নির্মাণ কাজ পড়ে আছে এ বিষয়ে কথা বলতে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সের কর্ণধার বা তার কোন প্রতিনিধিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো গোলজার হোসেন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট লোকদের ফোন নম্বর চাইলে তিনি সেটি দিতে পানেন নি। তিনি অনেকটা অপারগতার স্বরে বলেন, কারা কাজ করছেন আপনারা জানেন না ?
খুলনা গেজেট/ টি আই