খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এলাকায় কোরবানির পশুর বর্জ্য রাত ১২টার মধ্যে অপসারণের প্রস্তুতি নিয়েছে কতৃপক্ষ। তবে আবহাওয়া ঠিক থাকলে সময় আরও কম লাগতে পারে। এদিকে নগরীর ৩১ ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণসহ মনিটরিংয়ের জন্য মাঠে থাকবে প্রায় ৮’শ জনবল।
১ আগষ্ট ঈদুল আযহার জামাতের পর নগরীর বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানির কার্যক্রম শুরু হবে। ইতিমধ্যে নগরীর সকল কাউন্সিলদের কাছে কোরবানির পশু জবাই করার স্থানে ব্যবহারের জন্য ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন ইত্যাদি পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া নগরীতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে কোরবানির পশু জবাই করার পর রক্ত ভাল করে পরিস্কার করে জীবাণুনাশক ছিটানোর জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি কোরবানির পশুর বর্জ্য কেসিসি’র নির্ধারিত নগরীর ৮টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার ষ্টেশন (এসটিএস) অথবা প্রতি ওয়ার্ডে কেসিসির নির্ধারিত ময়লা ফেলার জায়গা রাখার আহবান করা হয়েছে।
কেসিসি’র সূত্র জানায়, নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য কন্ট্রোলরুম, সুপারভাইজার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে প্রায় ৮’শ জনবল কাজ করবে। বর্জ্য অপসারণেল জন্য ৬০/৭০ টি ট্রাকও মাঠে থাকবে। প্রতি ওয়ার্ডে কেসিসি’র উদ্যোগে বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে আলাদা আলাদা টিম থাকবে। যারা সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও বর্জ্য অপসারণের কন্ট্রোলরুমের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবে। প্রায় ৩’শ ভ্যান বিচ্ছিন্ন ভাবে ছড়িয়ে থাকা বর্জ্য অপসারণ করবে।
কেসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো: আব্দুল আজিজ জানান, সর্বোচ্চ রাত ১২টা বাজতে পারে। তবে আবহাওয়া এবং কর্ম পরিকল্পনা ঠিক থাকলে এর আগেই নগরী থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, প্রতিটি কাউন্সিলর এবং বর্জ্য অপসারণের টিম যৌথভাবে কাজ করবে। নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে বিøচিং পাউডার মিশ্রিত পানির ট্যাংকি বোঝাই দুটি ট্রাক থাকবে। এছাড়া প্রতি ওয়ার্ডের জন্য পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলন কাউন্সিলরদের কাছে আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট / এনআইআর