বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বেক্সিমকো ঢাকা ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি ২৫ রানে জিতেছে ঢাকা। ইয়াসির আলীর ঝড়ো ইনিংসের পর মুক্তার আলীর বোলিংয়ে জয় পায় মুশফিকের দল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ইয়াসিরের ঝড়ো ফিফটিতে বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান।
রাজশাহীর হয়ে রান তাড়া করতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। এই দুজনের পাশাপাশি মোহাম্মদ আশরাফুল সাজঘরে ফিরে যান দ্রুত। এর আগে তারা করেন যথাক্রমে ৫, ৬ ও ১ রান।
মাত্র ১৫ রানে তিন উইকেট হারানো রাজশাহীর হাল ধরেন রনি তালুকদার ও ফজলে মাহমুদ। দুজনে মিলে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ৪০ করে রনি আউট হওয়ার পর ফের ধস নামে রাজশাহী শিবিরে।
সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ফজলে। তিনি আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মূলত রাজশাহীর ম্যাচ জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। অন্যদের মাঝে ফরহাদ রেজা ১৪ ও নুরুল হাসান সোহান করেন ১১ রান। আর কেউই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
ঢাকার হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন মুক্তার আলী। এহাড়া শফিকুল ইসলাম তিনটি ও রুবেল হোসেন ২ উইকেট শিকার করেন। তাদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ওভারের পাঁচ বল বাকি থাকতে ১৫০ রানে অল আউট হয় রাজশাহী।
এর আগে টস জিতে ঢাকাকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান রাজশাহী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সবাইকে চমকে দিয়ে ওপেনিংয়ে নামেন দুই নাঈম (নাঈম হাসান ও নাঈম শেখ)। তবে দুজনের জুটিটা ভাংতে বেশি সময় লাগেনি। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরার আগে নাঈম হাসান করেন ১ রান।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নেন নাঈম শেখ। সাজঘরে ফেরার আগে নাঈম শেখ করেন ৯ রান। বড় স্কোরের সম্ভাবনা দেখালেও মুশফিক আউট হন ৩৭ রানে। অন্যদিকে ব্যর্থতার ধারা বজায় রেখে তানজিদ হাসান তামিম ফেরেন মাত্র ২ রানে।
প্রথম ১০ ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৪। সেখান থেকে দলের হাল ধরে পালটা আক্রমণ শুরু করেন ইয়াসির ও আকবর আলী। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রান রেট বাড়তে থাকে দ্রুত।
শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির। পাশাপাশি আকবরের সঙ্গে গড়েন ১০০ রানের জুটি। ২৩ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন আকবর।
রাজশাহীর বোলারদের মাঝে দুই উইকেট শিকার করেন মুকিদুল ইসলাম। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান, আরাফাত সানি ও ফরহাদ রেজা।
খুলনা গেজেট/এএমআর