রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ৭ জন, পজিটিভ থেকে নেগেটিভ ১ জন এবং উপসর্গে ৫ জন মারা যান। রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে চলতি জুলাই মাসের ৩০ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৫৩ জনে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ১৭৯ জন। শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৩৬ জন। বাকি ৩৮ জন মারা যান করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায়। এছাড়া সবচেয়ে বেশি মারা যান ১৪ জুলাই ২৫ জন এবং সবচেয়ে কম মারা যান ৪ জুলাই ১২ জন। এর আগে গত জুন মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা ও উপসর্গে মারা যান ৪০৫ জন।
রামেক পরিচালক জানান, নতুন মৃতদের রাজশাহীর ৬ (পজিটিভ ৪, উপসর্গে ২) জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১ (উপসর্গ) জন, নাটোরের ৩ (পজিটিভ ১, পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হওয়ার পর ১ ও উপসর্গ ১) জন ও নওগাঁর ৩ (পজিটিভ ২, উপসর্গ ১) জন।
তিনি বলেন, ‘আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালের ৫১৩টি করোনা ডেডিকেটেড বেডের বিপরীতে করোনা ও উপসর্গের রোগী ভর্তি রয়েছেন ৪২৫ জন। এদিন সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫০ জন।’
পরিচালক জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৪২৫ জনের মধ্যে ১৮৯ জনের করোনা পজিটিভ রয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭৪ জন। এছাড়াও চিকিৎসা নিয়ে করোনামুক্ত হওয়ার পর ফুসফুসে ইনফেকশনসহ পরবর্তী শারীরিক জটিলতার কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬২ জন।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ভাইরোলজি ল্যাব এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মলিকুলার ল্যাবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৬৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ১৩৮ জনের।
রামেক ভাইরোলজি ল্যাবে রাজশাহীর ৩৫৪ নমুনায় ৬০ জনের এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০৯ জনের নমুনায় ১৪ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। অন্যদিকে রামেক হাসপাতালের মলিকুলার ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনায় ৬৪ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। রাজশাহীতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২২.৮৭% এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১২.৮৪%।
খুলনা গেজেট/ টি আই