রাষ্ট্রপতির পদে মো. সাহাবুদ্দিনের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও পদে থাকা না থাকার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সরকার রাষ্ট্রপতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে অংশ নিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের এমন দুজন সদস্য এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একজন উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ কিংবা পদে থাকা বা না থাকার বিষয়টি নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। সরকার চায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে।
এর আগে গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতির অপসারণ এখন সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে দ্রুতই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
একটি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পাচ্ছি না। এর কোনো দালিলিক প্রমাণও আমার কাছে নেই।’
রাষ্ট্রপতির এমন বক্তব্যের পর এক ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং এটা হচ্ছে ওনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল। কারণ, তিনি নিজেই ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পেছনে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন।’
ড. আসিফ নজরুলের এমন মন্তব্যের পর বঙ্গভবন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতি মনে করেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগ একটি মীমাংশিত বিষয়। এটি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত কিংবা বিব্রত করার কোনো সুযোগ নেই।’
খুলনা গেজেট/এএজে