রাজধানীর তেজগাঁও থানার পশ্চিম নাখালপাড়া এলাকার একটি এনজিওর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভেতর থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মাহমুদ খান এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিহতরা হলেন আসমত আলী (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা (৩০)।’
মাহমুদ খান বলেন, ‘৮৫ পশ্চিম নাখালপাড়া ঠিকানায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার আঞ্চলিক অফিসের ভেতর আমরা দুটি লাশ পাই। আমরা ধারণা করছি, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। দম্পতির সন্তানেরা তাদের বাবা-মাকে খুঁজতে ওই অফিস কক্ষে যায়। সেখানে গিয়ে তারা দেখে, কক্ষের ভেতর থেকে ছিটকানি লাগানো আর ভেতরে মা-বাবার লাশ। এমন অবস্থায় তারা ৯৯৯-এ ফোন করে।’
‘আমরা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছাই, তখন দেখি, আসমত আলীর লাশ ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল। আর তাঁর স্ত্রীর লাশ পড়ে ছিল মেঝেতে। পরে ছিটকানি লাগানো কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লাশ উদ্ধার করি,’ যোগ করেন মাহমুদ খান।
মাহমুদ খান আরো বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দম্পতির ছেলেমেয়ের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানিয়েছে, আসমত আলী ও তাঁর স্ত্রী ফারজানার মধ্যে অনেক দিন থেকে মনোমালিন্য চলছিল। ফারজানা ওই এনজিওর লোকাল অফিসের ভেতরেই থাকতেন। গতকাল ওই অফিসে আসমত আলী ও তাঁর তিন ছেলেমেয়ে ঝামেলা মেটাতে যান। কিন্তু রাতে একপর্যায়ে আসমত আলী তাঁর ছেলেমেয়েদের চলে যেতে বলেন। সে সময় আসমত তার সন্তানদের জানান, তাঁরা (মা-বাবা) একে অপরের সঙ্গে কথা বলে ঝামেলা মেটাবেন। তারপর সেখান থেকে ওই দম্পতির সন্তানরা চলে যায়।’
মাহমুদ খান বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, পারিবারিক কোনো সমস্যার জেরে আসমত আলী প্রথমে তাঁর স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন। তারপর নিজেও ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। লাশ উদ্ধারের পর দেখা গেছে, ফারজানার মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে আরো বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে ক্রাইমসিন কাজ করছে।’
খুলনা গেজেট/এনএম