ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলেপড়ার খবরে সহমর্মিতা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এছাড়া ঘটনার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে সৌদি আরব, তুরস্ক, আর্মেনিয়া, রাশিয়া, ইউরোপীয় কমিশনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রোববার (১৯ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। আলজাজিরা বলছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি উদ্ধারে চলছে অনুসন্ধান। তবে বৈরী আবহাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আলজাজিরার খবরে বলা হয়, রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় সহায়তা করতে প্রস্তুত সৌদি আরব। ইরানকে যেকোনো ধরনের সহায়তার জন্য প্রস্তুত রিয়াদ। এ ঘটনায় সহমর্মিতা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের সন্ধানে তুরস্কের কাছে সহায়তা চেয়েছে ইরান। এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত তুরস্ক। এরই মধ্যে ছয়টি যানসহ ৩২ জন পর্বতারোহী উদ্ধারকর্মী পাঠানোর কথা জানিয়েছে দেশটি।
আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরানের খবরে হতবাক আর্মেনিয়া। ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং অন্যদের জন্য সহমর্মিতা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি। ইরানের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত আর্মেনিয়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছে, রাশিয়া নিখোঁজ হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এবং ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
এছাড়া উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য স্যাটেলাইট ম্যাপিং সক্রিয় করেছে ইউরোপীয় কমিশন। তারা জানিয়েছে, ইরানের অনুরোধে এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধস্ত হওয়ার প্রতিবেদনগুলো পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অবহিত করা হয়েছে।