সপ্তাহখানেকেরও কম সময়ের মধ্যে শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। রমজান কোরআন নাজিল ও সংযমের মাস। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে।’(সূরা বাকারা, আয়াত, ১৮৫)
রমজানের রোজা মুমিনকে আত্মিকভাবে পরিশুদ্ধ করে। রমজানের রোজা আল্লাহ তায়ালার কাছে এতোটাই প্রিয় যে আল্লাহ তায়ালা নিজেই এর প্রতিদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম। রোজা শুধু আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দেব। (মুসলিম, হাদিস, ২৭৬০)।
রমজান মাস সম্পর্কে বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, ‘তোমাদের কাছে রমজান উপস্থিত হয়েছে। রমজান এক বরকতময় মাস। আল্লাহ তোমাদের ওপর এ মাসে সিয়াম পালন করা ফরজ করেছেন।
এ মাসে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ মাসে অবাধ্য শয়তানদের শিকলবদ্ধ করা হয়। এ মাসে আল্লাহ এমন একটি রাত রেখেছেন, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষেই বঞ্চিত’। (নাসায়ি, হাদিস, ২১০৬)
হাদিসের আলোকে মুসলিম সমাজে রমজানের আগেই রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। অনেকেই রমজানের আগের মাসে বেশি বেশি রোজা রাখেন, দান-সদকা করেন। আলেমরাও এ বিষয়ে বিশেষ পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
রমজানের প্রস্তুতি উপলক্ষে জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, মুক্তির বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হতে চলেছে মাহে রমজান। এ মাসের প্রস্তুতি হিসেবে আজই শুরু করে দিন ১২টি কাজ। কাজগুলো হলো—
১. বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার করা।
২. রমজানের ফজিলত ও মাসায়েল জানা চেষ্টা করা।
৩. মাগফিরাত ও নাজাত লাভে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।
৪.পূর্বের কাজা রোজা থাকলে সেগুলো আদায় করা।
৫.সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করা।
৬. অন্তরকে হিংসা-বিদ্বেষ ও শিরক থেকে পরিচ্ছন্ন করুন।
৭. গত রমজানের ভুলগুলোকে চিহ্নিত করুন।
৮.রমজান মাসের আমলগুলো রিহার্সাল করুন।
৯. পুরো রমজান মাসের সময়সূচি নির্ধারণ করুন।
১০. শাবান মাসের শেষ দিনে রমজানের চাঁদ দেখার চেষ্টা করুন।
১১. আল্লাহ তায়ালার কাছে তৌফিক কামান করুন।
১২. বেশি বেশি নফল রোজা রাখুন।
খুলনা গেজেট/ এএজে