সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। গ্রীষ্ম মৌসুমে এই সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানি থাকরেও সেটি পানের অযোগ্য। তাও আবার সবসময় পাওয়া যায় না। ফলে পৌরসভার প্রধান সমস্যা সুপেয় পানির সংকট। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঠিকমতো পানি পাচ্ছেন না পৌরবাসী। পবিত্র রমজান মাসে পানির এই সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এদিকে পবিত্র রমজান মাসে পৌরবাসীর সুপেয় পানির সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু। তিনি নিজ উদ্যোগে পৌরসভার গাড়িতে করে বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করছেন।
শনিবার (৩০ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরা পৌরসভার ইটাগাছা পূর্বপাড়া ও ইটাগাছা বউবাজার এলাকায় খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। মানুষের পানির কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে তার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
ইটাগাছা এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, পবিত্র রমজান মাসে মানুষ তীব্র পানির কষ্ট পাচ্ছে। সাতক্ষীরা পৌরসভার সরবরাহকৃত সাপ্লাই পানি মাসে ৩ দিন না পেলেও ৩০ দিনের বিল দিতে হয়। আমরা এই ভৌতিক বিলের সুষ্ঠু সমাধান এবং পানি ব্যবস্থাপনার সমাধান চাই।
একই এলাকার আব্দুল জলিল জানান, গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরুতেই এই এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। এসময় উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা পানি কিনে পান করলে নিম্নবিত্ত ও অস্বচ্ছল পরিবারের সদস্যরা খাবার পানির সংকটে ভোগে। অনেকে পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানি পান করে মাঝে মধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে তারা অনেক দূর থেকে খাবার পানি সংগহ্র করে আনে। সম্প্রতি রমজান মাসে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন নিজ উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি খাবার পানি পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করায় এই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসছে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু বলেন, সারা বছরই এই এলাকায় পানির তীব্র সংকট থাকে। রমজান মাসে মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে পৌরসভার গাড়িতে করে মহল্লায় মহাল্লায় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। রমজান মাসব্যাপি এটি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া দুই মাস ধরে পানি না পেলেও প্রতিনিয়ত পানির বিল আসছে। এ বিষয়ে পৌর মেয়র এবং সিইও’র সাথে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। রোজার পর টেন্ডারের মাধ্যমে পানি সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, পানি উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি। পানির সমস্যা সমাধানে নতুন পাম্প স্থাপনের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। পানি না পাওয়ায় সাধারণ মানুষের যে কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে সেটি দ্রুত সমাধান করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এএজে