মাহে রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতরে খুলনাসহ সারাদেশে পোল্ট্রি ও ডেয়ারি শিল্পের উৎপাদিত নিরাপদ পুষ্টিকর আমিষপণ্য মুরগির ডিম, মাংস ও তরল দুধের মূল্য সর্বনিম্ন থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের বিভাগীয় শাখা ও খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতি।
এক যৌথ বিবৃতিতে পেশাজীবী কৃষিভিত্তিক শীর্ষ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনাসহ দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করার সামর্থ্য রয়েছে খামারীদের। তাঁদের উৎপাদিত মুরগির ডিম, মাংস ও তরল দুধের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে যে ধরনের সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল তা না পেয়েও অদম্য খামারীরা সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে দেশের জন্য যা করেছে তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কিন্তু চাহিদার অতিরিক্ত মুরগির ডিম, মাংস ও তরল দুধ উৎপাদন করে যথাযথ মূল্য না পেয়ে হতাশা, দুঃখ ও ক্ষোভ বেড়েছে খামারী পরিবারগুলোর। এ অবস্থা নিরসনে অবিলম্বে পশুখাদ্য, ওষুধ ও বাচ্চার মূল্য কমাতে হবে।
এছাড়া সয়াবিন মিল বন্ধ, মহিষ/গরু আমদানি বন্ধ, বিদেশী বিনিয়োগের নামে বহুজাতিক কোম্পানীকে পোল্ট্রি চাষে সরকার ঘোষিত অনুমতি বাতিল, কৃষিজ-ভিলেজ ও লাইভ স্টক-এর আদলে বাজার স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, চাহিদার আলোকে উৎপাদনের যাওয়ার জন্য পশু শুমারির ব্যবস্থা করা, সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়ণ, খামারীদের কৃষি ভর্তুকীসহ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দের দাবি করেছেন সরকারের নিকট।
বিবৃতিদাতারা নেতৃবৃন্দ হলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট শাহ হাবিবুল হক, সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ মনজুর মোরশেদ খান, খুলনা সমিতির সভাপতি মাওঃ ইব্রাহিম ফয়জুল্লাহ, মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, উপদেষ্টা শেখ নুরুল ইসলাম, শেখ হেমায়েত উদ্দিন, মোঃ আল-মামুন, আফ্রিদুল ইসলাম বাবু, মোঃ আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ মোঃ বেলাল হোসেন, প্রফুল্ল কুমার রায়, গোলাম সরোয়ার পিণ্টু, মোঃ জাফর, এইচ এম সিদ্দিকুর রহমান, ইলিয়াস চৌধুরী, শেখ রেজানুল ইসলাম, আলমগীর খান, তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রহমান, আরিফুল রহমান বাবু, এস এম হাফিজুর রহমান লিপু, তপন পাল, তালুকদার মোঃ হেলালুজ্জামান, শেখ আব্দুল হালিম, এড. শাহরিয়া মোর্শেদা আহমেদ শম্পা, মোজাম্মেল হক, শাহ জাফর মামুদ মেহেতা, মোঃ সালাহ উদ্দিন, মোঃ আব্দুল আহাদ, শ্যামল বিশ্বাস, ইনসান আলী, মোঃ মাহবুবুর রহমান মিঠু প্রমুখ।