দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে আলোচনা চলছে কয়েক সপ্তাহ ধরে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছে ইলিশের প্রথম চালান।
রপ্তানির এই ডামাঢোলের মধ্যে বাজারে হু হু করে বাড়ছে ইলিশের দাম। গত ৮/১০ দিনে বাজারে প্রতি মণ ইলিশের দাম ৩ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে না।
খুলনায় পাইকারী ইলিশ বিক্রি হয় নগরীর রূপসা মাছ বাজার এবং ৫নং ঘাটের মৎস্য অবতরণ বিক্রয় কেন্দ্রে। ব্যাপারিরা বরগুনা জেলার পাথরঘাটা, খুলনার কয়রাসহ আশপাশের এলাকায় থেকে ইলিশ নিয়ে পাইকারী বাজারে আসেন।
পাইকারী মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতার তুলনায় ইলিশ আমদানি অনেক কম। যার কারণে দামও বেশি। ১২০০-১৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৫৫/৫৭ হাজার টাকা, এক কেজি সাইজের ইলিশ ৫১/৫৩ হাজার টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৩-৪৪ হাজার টাকা এবং ৫০০-৬০০ গ্রামের ছোট ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩২-৩৩ হাজার টাকা মণে।
তবে এক কেজি এবং এর চেয়ে বেশি ওজনের মাছ বিক্রি না করে আলাদা সরিয়ে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন মৎস্য প্রক্রিয়াজাত কারখানার কর্মচারীরা সেগুলো নিয়ে যাচ্ছেন। বড় ইলিশ কিনতে হলে দামও হাঁকতে হচ্ছে বেশি।
নগরীর নতুন বাজারের খুচরা বিক্রেতা ইউসুফ শেখ খুলনা গেজেটকে বলেন, বাজারে ইলিশের চাইতে ক্রেতা ডাবল। ইলিশ দেখেই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে, ইচ্ছে মতো দাম ওঠায়। বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে কিনতে হয়। গত ৮/১০ দিন ধরে বড় মাছ বিক্রি করে না।
সকালে পাইকারী বিক্রেতারা খুলনার বিভিন্ন বাজারে খুচরা এসব মাছ বিক্রি করেন কেজি প্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দামে।
রাতে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের সন্ধ্যা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০ টাকা, এক কেজির ইলিশ ১৩০০/১৪০০ টাকা এবং ৮০০/৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৯০০/১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সন্ধ্যা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের ক্রেতারা বেশিরভাগ উচ্চবিত্ত। দাম নিয়ে তাদের তেমন মাথাব্যাথা নেই। দেখছেন, কিনছেন। তবে নিম্ন আয়ের মানুষকে শুধু দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই