রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গভীর রাতে আবু বকর নামের এক ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ বলেছে, যৌথ বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ডাকাতেরা বাসায় ঢুকে ডাকাতি করে। এ সময় ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি সোনা লুট করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ জব্দ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আবু বকর বাদী হয়ে শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাসুদ রানা বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার পর মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড় বেড়িবাঁধ এলাকায় ব্যবসায়ী আবু বকরের বাসায় ডাকাতি হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এবং সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাঁরা জানতে পারেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানের কথা বলে একদল লোক সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে আবু বকরের বাসায় প্রবেশ করে। প্রত্যেকের মুখোশ পরা ছিল।
সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা জানান, মাত্র ৪০ মিনিটে আবু বকরের বাসা থেকে ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি সোনা লুট করে নেয় ডাকাতেরা।
আবু বকর জমি ও ইট–বালু কেনাবেচার ব্যবসা করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, ডাকাতিতে ২০ থেকে ৩০ জন অংশ নেয়। তারা গাড়িতে করে আসে।
ডাকাতির পর তারা আবার গাড়িতে করেই চলে যায়। ডাকাতির খবর পেয়ে ওই রাতেই মোহাম্মদপুর থানা–পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এর কিছুক্ষণ আগে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। থানা–পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাব পৃথকভাবে তদন্ত করছে।
জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে মোহাম্মদপুরের ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না।
আবু বকরের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবু বকর বলেন, ‘হঠাৎ গভীর রাতে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা কয়েকজন লোক আমার বাসায় আসেন। পরে আমাকে তাঁরা বলেন, আমার কাছে অস্ত্র আছে। তখন আমি বলি, অস্ত্র নেই। অস্ত্র থানায় জমা দিয়েছি।’ তখন সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরা ডাকাতরা আমার বাসা থেকে নগদ ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে।’
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান বলেন, সিসিটিভির বেশ কিছু ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
খুলনা গেজেট/এইচ