সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছনকা গ্রামে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শনিবার (৩০ জুলাই) রাতের কোন এক সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাবলু পাড় তার জামাতা লিটন হোসেরে বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিহত গৃহবধুর নাম হালিমা খাতুন (২৩)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দাহ গ্রামের বাবলু পাড়ের মেয়ে ও একই উপজলার ছনকা গ্রামের লিটন হোসেন ঢালীর স্ত্রী।
নিহতের বাবা বাবলু পাড় জানান, গত ৫ বছর আগে তার মেয়ে হালিমার সাথে ছনকা গ্রামের লিটনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তাকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে সে কয়েক দফায় ৫ হাজার থেকে সবোর্চ্চ ১০ হাজার টাকা নেয়। সম্প্রতি সে ইজিবাইক ক্রয়ের জন্য আরো এক লাখ টাকা তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে আনতে বলে। এতে তার স্ত্রী রাজী না হওয়ায় তার স্বামী তাকে মারপিট করতো। একপর্যায়ে শনিবার রাতে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজ ঘরের আড়ায় তার স্ত্রীর মরদেহ ঝুলিয়ে দিয়ে প্রচার দেয় তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। এরপর সে নিজেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৪ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়ীত্বে) বিশ্বজিৎ সরকার জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাবলু পাড় বাদী হয়ে সদর থানায় নিহতের স্বামী লিটনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ইতিমধে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ