সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাহফুজা পারভীন (২০) নামের এক গৃহবধূকে মারপিটের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার টেংরাখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
যৌতুকের টাকা আনতে বাবার বাড়িতে যেতে সম্মত না হওয়ায় স্বামী শরিফুল ইসলাম ও শাশুড়ী নকিয়া খাতুন এমন কান্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পাতড়াখোলা গ্রামের নুর হোসেনের মেয়ে মাহফুজার চার বছর পুর্বে টেংরাখালী গ্রামের শরিফুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই স্বামী ও শাশুড়ি তার উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত।
আহত গৃহবধু মাহফুজা পারভীনের পিতা নুর হোসেন জানান, বুধবার রাতে তার মেয়েকে শরিফুল ও তার মা নকিয়া খাতুন বেপরোয়া মারধর করে। এক পর্যায়ে মৃত ভেবে প্রথমে তাকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে মাহফুজা বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে বলে তাদেরকে খবর দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পৌছে মেয়ের নিঃশ্বাস চলার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পাশের এক গ্রাম্য চিকিৎসকের সাহায্য নেন। এসময় মুখে ঢেলে দেয়া বিষ ওয়াশ করিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মাহফুজাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বিয়ের সময় স্বর্নালংকার ও নগদ দেড় লাখ টাকা ও মটর সাইকেল দেয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি এক লাখ টাকা দাবি করে তার মেয়েকে নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ ফাতিমা ইদ্রিস ইভা জানান, আহত গৃহবধূর গলা ও শরীরের উপরিভাগে ব্যাপক নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। বিষক্রিয়া কেটে গেলেও শাররীক নিয়াতনের শিকার ওই গৃহবধূর অন্যান্য চিকিৎসা চলছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত কেউ ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।