ঢাকার রাস্তায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি পড়ছিল। তার মধ্যেই ছাতা মাথায় কেউ, আবার কেউ হাঁটছেন বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে। অধিকাংশের পরনেই কালো জামা। সরকারের বিরুদ্ধে উঠছে মুহুর্মুহু স্লোগান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এ দিন রাস্তায় নামেন অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। এ মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় অভিনেতা মোশাররফ করিম, আজমেরী হক বাঁধনদের। ছিলেন রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা ও আশফাক নিপুণ, সোহেল মণ্ডলের মতো অসংখ্য শিল্পীকে। এ দিনের জমায়েত থেকে ফিরে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেন অভিনেত্রী বাঁধন।
বাঁধন বলেন, ‘যে দিন থেকে এ ঘটনা ঘটেছে, দু’চোখের পাতা এক করতে পারিনি। একটা অসহ্য পরিস্থিতি চলছে। আমাদের দেশের ছাত্রেরা দেখিয়ে দিল কীভাবে প্রতিবাদ করতে হয়। আমি কথা বলতে গিয়ে হয়তো রেগে যাচ্ছি। যে হত্যাকাণ্ড ঘটে গেল এবং ঘটছে, সেটির বিচার কি আমি চাইব না? যদি না চাই, তা হলে তো আমি এই রাষ্ট্রের কেউ না। তা হলে তো অমানুষ। আমার মনে হয়েছে, এর প্রতিবাদ করা উচিত।’
এ মুহূর্তে বাংলাদেশে গণগ্রেফতারি চলছে বলেই দাবি করেন অভিনেত্রী। তার অভিযোগ, নাবালাক শিক্ষার্থীদেরও রেয়াত করা হচ্ছে না। ছাত্র-ছাত্রীদের যে ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণ গিয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের। বাঁধন দাবি করেন, সাঈদের হত্যায় অভিযুক্ত হিসেবে ১৬ বছরের এক নাবালককে ধরেছে পুলিশ। যদিও সে জামিন পেয়েছে। কিন্তু বাঁধন দাবি করেছেন, এটা দ্বিচারিতা। তিনি বলেন, ‘যত দিন শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে রয়েছেন, তত দিন তাদের সঙ্গেই থাকবেন।’
বাঁধন বলেন, আমার প্রশ্ন, রাষ্ট্র কি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে না? নাবালকদের যে ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে, মানতে পারছি না। আমি স্বস্তিতে থাকতে পারছি না। কারণ আমিও মা, ১২ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে আমার।’ গণমাধ্যমের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। অভিনেত্রীর দাবি, তার দেশে নিরপেক্ষ সংবাদ পেশ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমার ১২ বছরের মেয়েও বলছে, বন্ধ করো এ সব ভুয়া খবর।’
খুলনা গেজেট/এনএম