ফেব্রুয়ারি-মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা শেষ সিরিজে ব্যাট হাতে রানের ঝংকার তুলেছিলেন লিটন দাস। ছান্দসিক সেই ফর্ম হয়ত পরের সিরিজগুলোতেও টেনে নিতেও পারতেন। কিন্তু তাতে বাধ সাধল প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। অতিমারির কারণে প্রায় ৬ মাস থাকতে হয়েছে ঘরবন্দী। এখন সবকিছুই আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। আর সেই মিশনে তাকে প্রেরণা যোগাচ্ছে সবশেষ খেলা জিম্বাবুয়ে সিরিজের অতিমানবীয় সেই ব্যাটিং। অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় শ্রীলঙ্কা সিরিজেও একই ছন্দ ধরে রাখার প্রত্যয় ঝরল লিটনের কণ্ঠে। গতকাল সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলায় অনুশীলন শেষে বিসিবি’র পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
‘একটা বিরতির কারণে হয়তবা আমি ব্যাকফুটে আছি। শুধু আমি না বোলার বলেন ব্যাটসম্যান বলেন যারা একাদশে থাকবে সবাই ব্যাকফুটে থাকবে কারণ অনেক দিনের একটা বিরতি। আমার মনে হয় যে আগের যে সিরিজটা খেলেছি সেখানে একটা আত্মবিশ্বাস আছে। আগের সিরিজটা যে মনযোগ দিয়ে শেষ করেছি এই মনযোগটা যেন মাঠে আবারও ফিরিয়ে আনতে পারি। আমার মনে হয় মনযোগ ও নিজের চ্যালেঞ্জটা যদি আবার নিতে পারি যে আমাকে ভালো কিছু করতে হবে তাহলে মনে হয় ভালো কিছু করা সম্ভব।’
করোনাকালে অবশ্য সতীর্থদের চেয়ে কিছুটা পরে অনুশীলন শুরু করেছেন লিটন দাস। মুশফিক, মুমিনুলরা যেখানে প্রথম ধাপ থেকেই একক অনুশীলন করেছেন সেখানে তিনি যোগ দিয়েছেন চতুর্থ ধাপে এসে। লম্বা বিরতিতে প্রিয় প্রাঙ্গন হোম অব ক্রিকেটে ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে তারা খেলোয়াড়ি চিত্তেও।
‘মিরপুরে ফিরতে পারা নিজের অনেক ভালো লাগছে। কারণ অনেক দিন পর ক্রিকেট ব্যাট ধরতে পারছি, ব্যাটিং করতে পারছি। এটা হলো সবচেয়ে বড় জিনিস, উইকেটের মধ্যে ব্যাটিং করা। এ জিনিসটা অনেক স্বস্তি দিচ্ছে যে সামনে হয়ত ক্রিকেট আছে। এবং আসলেই ক্রিকেট আছে সামনে। চেষ্টা করবো সামনে যে সিরিজটা আছে সেটায় এখান থেকে প্রস্তুতি নিয়ে যেন ভালো কিছু করা যায়।’
খুলনা গেজেট/এএমআর