ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ সেনারা রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে এবং তারা যেকোনো সময় শহরে হামলা চালাবে। এমনকি রাতের মধ্যেই এই হামলা হতে পারে বলেও জোরালো আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি একথা বলেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ওই ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাকে পুরোপুরি খোলাখুলি কথা বলতে হবে। আজ রাতটা হবে কঠিন, অত্যন্ত কঠিন। এই রাতে আমাদের প্রতিরোধ ভেঙে দিতে সম্ভাব্য সব পন্থা ব্যবহার করবে শত্রপক্ষ। আজ রাতেই তারা হামলা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের বহু শহরে রাশিয়ার হামলা হচ্ছে। কিয়েভেও হতে যাচ্ছে। (কিন্তু) আমরা রাজধানী হারাতে পারি না।’
প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশিত এই ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘সকল ফ্রন্টের নারী ও পুরুষ প্রতিরোধ যোদ্ধাকে আমি বলবো। আমাদের প্রতিরোধকে ব্যর্থ করে দিতে বিশ্বাসঘাতক, কঠোর এবং অমানবিক উপায়ে আজ রাতেই সর্বশক্তি দিয়ে হামলা চালাবে শত্রুরা।’
রাজধানী কিয়েভের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আজ রাতেই তারা বড় হামলার চেষ্টা করবে।’
অবশ্য শুক্রবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছবি ও ভিডিওসহ খবর প্রচার করা হয়েছিল যে, রাশিয়ার সেনা ও ট্যাংক রাজধানী কিয়েভের শহরতলীগুলোতে ঢুকে পড়েছে। তবে শুক্রবার রাজধানী শহরটিতে বড় আকারের রুশ হামলা হয়নি।
এদিকে, রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ইন-চিফ বলেছেন, তার বাহিনী রাশিয়ার সৈন্যবাহী একটি ইলিউশিন-৭৬ বিমান ভূপাতিত করেছে।
চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট ইলিউশিন-৭৬ বিমান বড় আকারের সেনা সদস্যদের পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে বিমানটি ভূপাতিত করার ঘটনায় সম্ভাব্য হতাহতের খবর দিতে পারেনি ইউক্রেন এবং দেশটির এ দাবি নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ফেসবুকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী ভ্যাসিলকিয়েভের আকাশে বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালে পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক শহরের বিমানবন্দরের কাছে ইউক্রেনের সৈন্যবাহিনী একটি বিমান ভূপাতিত করার প্রতিশোধ হিসেবে এই বিমানটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে।