বাগেরহাটে যুবলীগ নেতা সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেল ও তার ভাই জুয়েল হাওলাদার ওরফে রাখার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধর ও তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবির অভিয়োগ উঠেছে।শনিবার (১১ নভেম্বর) বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে মারধরের শিকার বাগেরহাট বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোশনী আক্তার, তার বাবা শামীম বিশ্বাস ও আদুরী আক্তার উপস্থিত ছিলেন। রোশনী আক্তার বাগেরহাট স্টেডিয়াম সড়ক এলাকার বাসিন্দা।
রোশনি আক্তার বলেন, ২৮ নভেম্বর বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাগেরহাট স্টেডিয়াম সড়ক এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে পৌছালে নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দা যুবলীগকর্মী জুয়েল হাওলাদার ওরফে রাখা রাস্তার উপরে আমাকে এলোপাথারি মারধর করেন। ডাক চিৎকারে বাবা-মা ও ছোট ভাই আসলে, তাদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দেয়। পরে হামলাকারী রাখার ভাই সোহেল আমাদের ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে আমার ছোট ভাইয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক লক্ষ্য টাকা চাদা দাবী করেন। যাওয়ার সময় আমাদের ঘরের বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।
রোশনির মা আদুরি বেগম বলেন, এর আগেও বিভিন্ন সময় সোহেল ও তার ভাই আমাদের নানাভাবে হুমকী-ধামকী দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় সোহেল এলাকায় চাঁদাবাজী, মানুষকে মারধর এমনকি হত্যার মত ঘটনাও ঘটিয়েছে। যার কারণে ভয়ে আমরা কথা বলতে পারিনি। এখন একটি নিরপেক্ষ সরকার আছে দেশে, আমার মেয়েকে মারধর ও আমাদের হুমকি-ধামকীর বিচার চাই। এ বিষয়ে আমি বাগেরহাট মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেলের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামালা রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সোহেলকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাঈদুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত অপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ