পুলিশের দায়ের করা নাশকতা মামলায় ২৮ দিন কারাভোগের পর কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব হাসান পিয়ারু, মাসুদ পারভেজ বাবু, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইস্তিয়াক আহম্মেদ ইস্তিসহ ১০ নেতা জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (০৪ অক্টোবর) বিকালে তারা খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হলে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
কারামুক্ত অন্যরা নেতারা হলেন জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শেখ নাদিমুজ্জামান জনি, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান নাসিম, ২৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি কে এম বেলাল হোসেন, ২১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি ও সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খায়রুজ্জামান সজিব।
এদিকে কারামুক্ত হয়েই বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকার প্রধানের বক্তব্যের প্রতিবাদে নগরীতে কালোপতাকা মিছিল করে খুলনা মহানগর যুবদল। কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মুখে কালোকাপড় বেঁধে মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে যায়। সেখানে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কারামুক্ত যুবদল নেতা নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর বলেন, সারাদেশের মানুষ আজ কারাবন্দি। আমরা ছোট কারাগার থেকে বড় কারাগারে এসেছি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সেদিন বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে পারবো, সরকারের পতন ঘটাতে পারবো সেদিনই দেশের মানুষ সত্যিকার কারামুক্ত হবে। ওইদিন আমরা আনন্দ মিছিল করবো। এর আগে আমাদের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ কর্মসূচি চলবেই।
কালো পতাকা মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, বিএনপি নেতা কাজী মাহমুদ আলী, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম নান্নু, তৈয়েবুর রহমান, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কেএম হুমায়ুন কবীর (ভিপি হুমায়ুন), কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, আফসার উদ্দিন, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আক্কাস আলী, আজিজা খানম এলিজা, ছাত্রনেতা তাজিম বিশ^াস, যুবদলের নেহিবুল হাসান নেহিম, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা শফিকুল ইসলাম শাহীন।
খুলনা মহানগর যুবদল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, মেহেদী মাসুদ সেন্টু, মোঃ সাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, জাকির ইকবাল বাপ্পি, মন্জুরুল আলম সৌরভ, রফিকুল ইসলাম টিটু, আলতাফ হোসেন, মাহবুব হাসান বাবুল, সাইফুল ইসলাম সান্টু, আব্দুল আজিজ সুমন, এবিএম জাকির হোসেন, খান ইমরান আহমেদ, গাজী সালাউদ্দীন, জাকির মুন্সি, মাহমুদ হাসান বিপ্লব, মনিরুজ্জামান মনি, আমিন হোসেন মিঠু, সাইফুল ইসলাম বকশি, এম এম জসিম, মোঃ হোসেন, ইমরান হোসেন মোল্লা, মোল্লা সোহরাব হোসেন, আল মামুন জুয়েল, শফিকুল ইসলাম শাহীন, ডালিম গাজী, সেলিম হোসেন, মাইনুদ্দিন নয়ন, নুর ইসলাম নুরু, মাহবুবুর রহমান, আলমগীর কবির খান,মিজানুর রহমান বাবু, শরিফুল ইসলাম অসীম, শাকিল আহমেদ, ইয়াসির আরাফাত, শাওন শরিফ, এ্যাড. জুলকার নাইন, মাহবুব হোসেন মাহবুব, শাহরিয়ার খান মাসুম, কামরুজ্জামান টুকু, তৌহিদুর রহমান, এস এম দোলন, হানিফ মাহমুদ, শাহরিয়ার কবির সাদী, মিয়া আতিয়ার রহমান বাবু, শেখ আসাদুজ্জামান মুন্না, শহিদুল ইসলাম, হাসান আলী বাবু, আতিয়ার রহমান, রফিকুল ইসলাম শান্ত, বিলাল হোসেন, ফারুক খান, রুহুল আমিন হাওলাদার, শেখ আশরাফুল ইসলাম সেতু, শাহিন পাটোয়ার, মো: মাইনুদ্দিন, মাসুদ হোসেন, মনির হোসেন, আব্দুল আলিম, রাকিব হাসান, ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, আশিকুর রহমান সেলিম, হুমায়ুন কবির পলাশ, নজরুল ইসলাম সবুজ, সাহারুজ্জামান মুকুল, রুবেল জমাদ্দার, শেখ ফিরোজ, মিজানুর রহমান, আল আমিন দেওয়ান, লিটন হাওলাদার লিটু, মাসুদ পারভেজ তুষার, সোহেল রানা প্রিন্স, রুবেল হোসেন রুবেল, গোলাম সরোয়ার সরো, সাব্বির আহমেদ মিলন, মহসিন খন্দকার, রিপন শেখ, রাফিউল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/এইচ