একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ভবন থেকে এই পরোয়ানা জারি করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বুধবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি তারা হাতে পান। আজ মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সেই পরোয়ানা কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার ডিসি অফিসে অনুলিপি দেয়া হয়েছে। লাল শালু কাপড়ে মোড়ানো সেই মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছানোর পর কারা কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ কায়সারকে তা পড়ে শোনাবে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুসলিম লীগ নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার এখন ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন। তবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন না করলে যে কোনো দিন রায় কার্যকর হতে পারে।
রিভিউ আবেদন খারিজ হলেও অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন সৈয়দ কায়সার। তিনি যদি প্রাণভিক্ষা না চান এবং চেয়েও যদি ক্ষমা না পান, তাহলে রায় কার্যকরের ক্ষণগণনা শুরু হবে। রায় কার্যকরের আগে তিনি শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।
২০১৩ সালের ১৫ মে ট্রাইব্যুনাল কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে সেই রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। যুদ্ধাপরাধের ১৬টি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে পরের বছর ২ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ কায়সারের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। সেই বিচার শেষে ২০১৪ সলের ২৩ ডিসেম্বর তার ফাঁসির রায় দেন আদালত।
খুলনা গেজেট/এনএম