যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ভার্জিনিয়ায় শিক্ষিকাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে ৬ বছর বয়সী এক ছাত্র। শুক্রবার ভার্জিনিয়ার নিউপোর্ট নিউজ শহরের রিচনেক এলিমেন্টারি স্কুলে ঘটেছে এ ঘটনা।
নিউপোর্ট নিউজ শহরের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা স্টিভ ড্রিউ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এটি দুর্ঘটনাবশত ঘটেনি এবং শুক্রবার স্কুলটিতে ক্লাস চলার সময় ওই শিক্ষিকাকে লক্ষ্য করে ছেলেটি গুলি করে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন তারা।
‘এটা দুর্ঘটনাবশত কোনো ঘটনা নয়। ক্লাস চলাকালে শিক্ষিকার সঙ্গে কথা হচ্ছিল ওই শিক্ষার্থীর। তিনি সম্ভবত কড়াভাবে তাকে কিছু বলেছিলেন, তারপরই অস্ত্র বের করে শিক্ষিকাকে গুলি করে সে। অর্থাৎ, সে (শিক্ষার্থী) সচেতনভাবেই এটি করেছে।’
‘এখন আমি আসলে জানতে চাই— কোথা থেকে এবং কীভাবে তার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এলো,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন স্টিভ ড্রিউ।
ওই শিক্ষিকা এবং ছাত্র— কারো নামই প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে সংবাদ সম্মেলনে স্টিভ জানিয়েছেন, ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৩০ বছর বয়সী ওই নারী শিক্ষককে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়েছে বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। হামলকারী সেই ছাত্র বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছে বলেও জানিয়েছেন স্টিভ।
নিউপোর্ট নিউজের মেয়র ফিলিপ জোনস বলেছেন, শুক্রবারের দিনটি ছিল নিউপোর্ট নিউজ শহরের জন্য অন্ধকার দিন। ভার্জিনিয়ার গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন বলেছেন, তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রশাসন যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
শহরের স্কুলশিক্ষা বিভাগের প্রধান জর্জ পার্কার বলেন, ‘আমি (এ ঘটনায়) হতবাক। বাচ্চাদের ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতনতা যে দিন দিন কমছে— এ ঘটনা তার প্রমাণ।’
কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে। স্কুল, হাসপাতাল, গির্জা এমনকি শেষকৃত্যানুষ্ঠানেও হয়েছে বন্দুক হামলা।
একের পর এক বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিপর্যায়ে বন্দুক সহজলভ্য করার বিরোধিতা করছেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে নিয়ম আরও কঠোর হওয়া দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছেন। তবে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড