রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া এবং তাদের প্রত্যাবাসনে শক্ত অবস্থান নেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের ‘মানবাধিকার ও গণতন্ত্র-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ প্রশংসা করা হয়। এছাড়া প্রতিবেদনে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আটক ও গ্রেফতারের জন্য বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ব্যবহার করছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে এই আইনে ৪২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা বিষয়ে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কার্যক্রমের কারণে তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বপ্রণোদিত প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির সামগ্রিক কোনও উন্নতি হয়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মাধ্যমে সরকারকে আরও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সারাবছর ধরে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সংখ্যা আগের বছরের থেকে বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অন্তত দু’টি রায়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী মার্ক ফিল্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উদ্বেগজনক মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়টি উত্থাপন করেন বলে উল্লেখ করা হয় রিপোর্টে। ওই একই মাসে রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারের প্রেস ফ্রিডম সূচকে বাংলাদেশ চার ধাপ নেমে ১৫০তম অবস্থানে পৌঁছায়।