যশোরের মণিরামপুরের পল্লীতে রেহেনা খাতুন (৩৬) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় থানা পুলিশ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের একটি বেগুন খেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। রেহেনা গোপালপুর গ্রামের গাজীপাড়ার নিছার আলী খাঁর মেয়ে। মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় দীর্ঘদিন তিনি বাড়িতে থাকতেন না। বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দিন কাটতো তার।
সোমবার দুপুরে আজিজুর সরদার নামে এক ব্যক্তি তার বেগুন খেতে বিষ ছড়াতে গিয়ে ওই নারীর মরদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে বিকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ও মরদেহ উদ্ধার করে। তার গায়ে কম্বল জড়ানো ছিল। সেই কম্বল তার মুখের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া রয়েছে। বাম পায়ের হাঁটু ভাঙা অবস্থায় মরদেহটি পড়ে ছিল। পুলিশের ধারণা পাশবিক নির্যাতনের পর ওই নারীকে কেউ হত্যা করেছে।
নিহতের চাচা আফসার খাঁ বলেন, রেহেনা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। দীর্ঘদিন সে বাড়িতে থাকে না। কখনো মণিরামপুর বাজারে, আবার কখনো গোপালপুর বাজারে ঘুরে বেড়াতো। খাবার ভিক্ষা করে তার দিন কাটতো। আফসার খাঁ বলেন, রোববার সকালে রেহেনার সাথে আমার শেষ দেখা হয়। এরপর সোমবার ওর মরদেহের খবর পাই।
মণিরামপুর থানার এসআই সৌমেন বিশ্বাস বলেন, আমাদের ধারণা, কেউ ধর্ষণের পর প্রতিবন্ধী এ নারীকে হত্যা করে বেগুন খেতে মরদেহ ফেলে গেছে। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/ এস আই