যশোরে আজিজুর রহমান নেছার নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে কোতয়ালি থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস হোসেনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী শহরের বেজপাড়া শংকরপুর এলাকার রিনা পারভীন লাকী ।
বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ জানান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম অভিযোগটি গ্রহণ করলেও বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।
এ মামলার অপর অভিযুক্তরা হলেন, কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই অরুন কুমার দাস, কনস্টেবল আবু বক্কার, মজিবর রহমান ও নজির আহম্মেদ।
নিহতের স্ত্রী রিনা পারভীন লাকী মামলায় বলেছেন, তিনি এবং তার স্বামী নেছার পূর্ববারান্দি সরদারপাড়ার বকুলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই রাত ১১টার দিকে থানার তৎকালীন ওসি ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে আসামি এসআই অরুন কুমার দাস এবং কনস্টেবল আবু বক্কার, মজিবর রহমান ও নাজির আহম্মেদ পূর্ববারান্দি সরদারপাড়া মসজিদের সামনে থেকে নেছারকে আটক করেন। এ খবর পেয়ে রিনা পারভীন লাকী সেখানে ছুটে যান এবং ওসি ইলিয়াস হোসেনের কাছে স্বামীকে আটকের কারণ জানতে চান। তখন ওসি ইলিয়াস হোসেন তাকে বলেন, আমরা নেছারকে থানায় নিয়ে যাচ্ছি। আপনি থানায় আসেন। পরে থানায় গিয়ে হাজতখানায় নেছারকে দেখতে পান লাকী। এ সময় ওসি ইলিয়াস হোসেন তাকে ডেকে নিয়ে ছাড়াতে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
কিন্তু লাকী এ টাকা প্রদানে অক্ষমতা প্রকাশ করলে তাকে থানা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই সকাল ৭টার দিকে লাকী জানতে পারেন, পূর্ববারান্দিপাড়া লিচুতলা ব্রিজের পশ্চিমপাশের রাস্তার ওপর তার স্বামীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পড়ে আছে। লোকমুখে তিনি আরও জানতে পারেন, ১৮ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওসি ইলিয়াস হোসেনসহ অন্য আসামিরা নেছারকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছেন। ওই সময় তিনি এ ঘটনার কোন বিচার না পেয়ে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি