যশোরের মণিরামপুরে স্বামী গাছিদা দিয়ে গলাকেটে আহত গৃহবধূ পারভিনা বেগম (৪৫) মারা গেছেন। শুক্রবার (২৮ জুন) দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরআগে গত বুধবার (২৬ জুন) রাতে পারভিনা বেগমের স্বামী উজির আলী গাছি দা দিয়ে স্ত্রীর গলাকেটে হত্যার চেষ্টা চালায় ও পরে তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুল হান্নান শনিবার (২৯ জুন) গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসআই আব্দুল হান্নান জানান, স্ত্রীকে গলাকেটে জখম করার ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উজির আলীর বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন আহত গৃহবধূর ভাই আসাদ গাজী। অবশ্য পরদিন সকালে উজির গাজীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর নিহতের ভাই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন।
উল্লেখ্য, তিন স্ত্রী বর্তমান থাকার পরও নেহালপুরের বালিদা গ্রামের ভ্যান চালক উজির আলী একই গ্রামের দেন আলী গাজীর মেয়ে পারভিনাকে বিয়ে করে স্থানীয় ঝাউতলা গ্রামের একটি ভাড়া নয়মাস যাবৎ বসবাস করতেন। সেখানে পারিবারিক গোলযোগের জের ধরে গত বুধবার রাতে তিনি গাছি দা দিয়ে স্ত্রী পারভিনাকে গলাকেটে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। পরে পারভিনা বেগমের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মণিরামপুর হাসপাতালে নেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওইরাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি