যশোরে স্বামীকে ঘরে আটকে রেখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের তদন্তে এ তথ্য মিলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড বুড়ির বাগান এলাকায় রোববার গভীর রাতে। নিহত শারমিন আক্তার ওই এলাকার সোহাগ হোসেনের স্ত্রী। সোমবার সকালে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এলাকাবাসী জানায়, তারা নব দম্পত্তি। মাসখানেক আগে ওই এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী বসবাস করতেন। পাশের ঘরের একজন সোহাগের ঘরের বারান্দায় শারমিনের গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে তিনি আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। তাদের চিৎকারে ঘরের ভেতরে থাকা সোহাগের ঘুম ভেঙে যায়। সোহাগ বাইরে বের হতে গেলে দেখেন তার ঘরের দরজায় বাইরে থেকে সিটকিনি দেয়া। এসময় স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে তাৎক্ষনিক পুলিশ আসে। পরে তারা লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। একই সাথে সোহাগকেও হেফাজতে নেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শারমিন আত্মহত্যা করেছে। স্বামী সোহাগ ঘুমিয়ে গেলে সে ঘরের বাইরে থেকে সিটকিনি আটকে দিয়ে বারান্দায় গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি আরও বলেন, সোহাগকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে ।
এদিকে, অপর একটি সূত্র জানায় সোহাগের সাথে শারমিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। অল্প কয়েকদিন হয়েছে তারা বিয়ে করেছেন। কিন্তু তাদের পরিবার এ বিয়ে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়নি। এসব বিষয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিলো। এরই জেরেই শারমিন আত্মহত্যা করেছেন।