যশোরের ঝিকরগাছায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। নিহত নারীর বাবা বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া গ্রামের ঋষিপাড়ার কার্তিক চন্দ্র বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক নিলুফার শিরীন অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন, ঝিকরগাছার ছুটিপুর গ্রামের রবির ছেলে ও নিহতের স্বামী মিলন এবং তার ভাই রাখাল।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ১১ বছর আগে মিলনের সাথে তার মেয়ে সূচরিতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিলন তার শ্বশুরের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। শ্বশুর কার্তিক যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় মিলন সূচরিতাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। এরমধ্যে সূচরিতা দু’সন্তানের মা হন। তবুও যৌতুকের জন্যে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন মিলন। একপর্যায়ে গত ২০ নভেম্বর রাতে যৌতুকের দাবিতে মিলন ও তার ভাই রাখাল সূচরিতাকে বেধড়ক মারপিট করেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরের দিন জ্ঞান ফিরলে রাখাল হাত-পা বাঁধেন এবং মিলন তার সন্তানের সামনে তাকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে মুখে বিষ ঢেলে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুর খবর শুনে মেয়ের লাশ দেখতে কার্তিক গত ২২ নভেম্বর সকাল নয়টায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে যান। মর্গে লাশ দেখতে গেলে আসামিরা তাকে বাধা দেয়। কার্তিক ওইদিন বিকেলে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করে। এ কারণে বাধ্য হয়ে তিনি রোববার আদালতে এ মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই