যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির বাগডাঙ্গা গ্রামের বেকার যুবক তরিকুল ইসলাম নিজের পায়ে দাড়াতে মুরগীর খামার করেছিলেন। স্বপ্ন বুনছিলেন তিনিও হবেন একজন সফল উদ্যোক্তা। তাইতো নিজ বাড়িতে তিনটি বড় মুরগী পালনের খামার। ইতিমধ্যে তার খামারে ২৬শ’ আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের মুরগীও হয়েছিলো। মঙ্গলবার রাতে তার খামারে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সে স্বপ্ন।
খামার মালিক তরিকুল ইসলাম বলেন, আগুনে তার ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত সর্ম্পকে এখনও কিছুই বলতে পারছে না এলাকার কেউ। প্রায় দুই ঘন্টা আগুনের তীব্রতা চলে বলে এলাকাবাসী জানায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের ২৬শ’ মুরগীর পাশাপাশি খাবার ছিলো মিনি এক ট্রাক। যার পুরোটাই আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে।
রাত ১২ টার দিকে খামারে মুরগীর খাবার দিয়ে তিনটি দরজা বন্ধ করে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তরিকুল ইসলাম। হঠাৎ রাত ২টার দিকে মুরগী পোড়ার গন্ধে ও জীবিতদের ডাকাডাকিতে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে তিনি দেখতে পান তার খামারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের আগেই তার তিনটি ঘরে থাকা ২৬শ’ মুরগী পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পুরো তিনটি ঘর পুড়ে শেষ হয়ে যায়। পরে তারা পাশের ঘরে যাতে আগুন না লাগতে পারে সে চেষ্টা চালায়। তবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত নাকি কেউ শত্রুতামূলক আগুন ধরিয়ে দিতে পারে এটা বুঝতে পারছে না খামার মালিক তরিকুলসহ এলাকাবাসী। এরপর থেকে তরিকুলের গোটা পরিবার জুড়ে চলছে কান্নার রোল।
খুলনা গেজেট/ এসজেড