যশোরের চাঞ্চল্যকর মিলন হোসেন হত্যা মামলার আসামি বেনাপোল ভবের বেড় পশ্চিমপাড়ার বর্তমানে বেনাপোল পোড়াবাড়ি নারায়ণপুরের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে হিরোকে আটক করেছে পিবিআই। নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পূর্ব মধ্যপাশা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় তার কাছ থেকে নিহত মিলনের একটি সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যাগে ভিকটিমের পরনের কাপড়, এককপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, দলিলের ফটোকপি ও এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ছিলো। নিহত মিলন হোসেন যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত মিলনের ছেলে বিপ্লব হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, তার নেতৃত্বে পিবিআইয়ের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শ^শুর বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পূর্বমধ্যপাশা গ্রাম থেকে শুক্রবার রাতে হিরোকে আটক করেন। মিলন হত্যার পর থেকেই হিরো পলাতক ছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকতা এসআই ডিএম নুর জামাল হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিরো পুলিশের কাছে মিলন হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
হিরো জানায়, সে ও তার সহযোগীরা ছিনতাইসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত ও মাদকাসক্ত। গভীররাতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন রেলস্টেশন এলাকায় আগত লোকজনের কাছ থেকে সবর্স্ব ছিনিয়ে নেয়াই তাদের পেশা। এরই এক পর্যায়ে মিলনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে সে স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেনাপোল পোর্ট থানাধীন মাছ বাজারস্থ অভিযুক্তের ভাংড়ির দোকান থেকে মিলন হোসেনের একটি সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার হয়।
যাতে ভিকটিমের পরনের কাপড়, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, দলিলের ফটোকপি ও এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ছিল। অভিযুক্ত হিরোকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে সে হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। অতিরিক্ত চিফজুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ আসামির জবানবন্দি গ্রহন করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ আগস্ট সকালে চুড়ামনকাঠির বাড়ি থেকে জমির দলিল নিয়ে মিলন বের হয়ে যায়। এরপর দু’দিন অতিবাহিত হলেও মিলন বাড়ি ফেরেনি। পরে ৩১ আগস্ট সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বেনাপোল রেলস্টেশনের ১শ’ গজ দূরে রেলকর্মচারিদের পরিত্যক্ত ভবনের সামনে থেকে মিলনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।