যশোরে কলেজছাত্র নুর হোসেন হত্যার দায় স্বীকার করেছে আটক সাইদুল ইসলাম পচা। আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে সে বলেছে, কিছুদিন আগে তাকে মারধরের প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই নুর হোসেনকে সে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কবীরের এজলাসে এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। আটক সাইদুল ইসলাম পচা শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ার মিলন হোসেনের ছেলে।
আদালতে স্বীকারোক্তিতে পচা বলেছে, কিছুদিন আগে শংকরপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে নুর হোসেন তাকে মারপিট করে। ওই মারধরের প্রতিশোধ নিতে সে একই এলাকার কয়েকজন সহযোগীদের সাথে আলোচনা ও তাকে খুনের পরিকল্পনা করে। এরই সূত্র ধরে গত ১০ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শংকরপুরের বারেক সড়কের কলোনীপাড়ার একটি দোকানের সামনে দাড়িয়ে তাকা নুর হোসেনের পিছু নেয়া হয়। এক পর্যায়ে সেখানে দাড়িয়ে থাকা নুর হোসেনকে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেখানে পৌছানোর আগেই নুর হোসেন মারা যায়। এ ঘটনায় নুর হোসেনের মা আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই ডিএম নুর জামাল হোসেন আসামি সাইদুল ইসলাম পচা ও কানা রনিকে সোমবার রাতে আটক করেন। মঙ্গলবার আসামি পচা এ হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পাশাপাশি অপর আসামি কানা রনিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি