যশোরের কেশবপুরে ৯ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে এক যুবকের ১৪ বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি আব্দুল লতিফ লতা।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মতিয়ার রহমান মতি কেশবপুরের লক্ষিনাথকাটি মাঝেরপাড়া গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে। ভিকটিম একই এলাকার মেয়ে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মতি বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব ও বিয়ের প্রস্তাব দিতো। এতে রাজী না হওয়ায় তাকে উত্যক্ত করতো মতি। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ধায় ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে একই এলাকায় মনিরুজ্জামান মনিরের নতুন বউ দেখতে যাচ্ছিলেন। পথে লক্ষিনাথকাটি গ্রামের আহাদের দোকানের সামনে পৌছালে মতিসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এক পর্যায় তাকে না পেয়ে ৯ জানুয়ারি কেশবপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে মতির বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। পরবর্তীতে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহযোগিতায় যশোর সদর উপজেলার শেখহাটির একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে কেশবপুর থানা পুলিশ। একই সাথে মতিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে কেশবপুর থানা পুলিশ ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি মতিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণার দিন বিচারক মতিয়ার রহমান মতিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চারমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এসময় মতি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।
খুলনা গেজেট/জেএম